• সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৬ অপরাহ্ন

সবজির বাজারে স্বস্তি: দাম কমাচ্ছে শিম ও ফুলকপি

Avatar photo
ইকোনমি বিডি
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

দুই সপ্তাহ আগেও রাজধানীর বাজারে বেশির ভাগ সবজির কেজি মূল্য ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। কিছু সবজি শত টাকাও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে এখন বাজারে এসেছে খানিকটা স্বস্তি। গত পনেরো দিনে অনেক সবজির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপি—এই তিন শীতকালীন সবজির দামের পতন।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) তেজগাঁও কলোনি বাজার, আগারগাঁও ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সবজির বাজার ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টিপাত না থাকায় উৎপাদন ভালো হচ্ছে এবং প্রতিদিনই নতুন সবজি আসছে পাইকারি বাজারে। ফলে ক্রেতারাও পাচ্ছেন স্বস্তির দামে তাজা সবজি।

এক মাস আগে কেজিপ্রতি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০–৭০ টাকায়। একইভাবে ফুলকপি ও বাঁধাকপি, যা আগে প্রতি পিস ৮০–১০০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন ৫০–৬০ টাকাতেই মিলছে।

বরবটি ও কাঁকরোলের কেজি এখন ৭০–৮০ টাকায় নেমে এসেছে, যা আগে ছিল ৯০–১০০ টাকা। ঢ্যাঁড়শ ও পটোলও কমেছে প্রায় ৩০ টাকা—বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০–৫০ টাকায়।

উচ্ছে ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৭০–৮০ ও ৫০–৬০ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ৩০ টাকা বেশি। একইভাবে মুলা ৩০–৪০, কাঁচা পেঁপে ২৫–৩৫ এবং লম্বা বেগুন ৬০–৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ও শসার কেজি দামও ৪০ টাকার মতো কমে যথাক্রমে ৯০–১০০ ও ৫০–৬০ টাকায় এসেছে।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল ১৪০–১৭০ টাকায়, বর্তমানে তা কমে ১০০–১৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আগারগাঁওয়ের সবজি বিক্রেতা আব্দুল হালিম জানান, পাইকারি দামে পতনের কারণে খুচরা পর্যায়েও দর কমছে। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল মিয়ার মতে, “এখন প্রতি রাতে শিম ও কপির গাড়ি আসছে। জোগান বেশি, তাই দাম কমছে।”

ডিম-মুরগির বাজারেও স্বস্তির ইঙ্গিত

সবজির দাম কমায় এর প্রভাব পড়েছে ডিম ও মুরগির বাজারেও। ফার্মের প্রতি ডজন ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়—আগে ছিল ১৪০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০–১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম কিছুটা স্থিতিশীল থেকে ২৫০–২৮০ টাকায় রয়ে গেছে।

তবে গরুর মাংসের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে—প্রতি কেজি ৭৫০–৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারেও তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি।

মসলা ও অন্যান্য পণ্যের অবস্থা

পেঁয়াজের বাজার বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫–৮০ টাকায়, রসুন ১০০–১৪০ টাকায়। দেশি মসুর ডাল এখনো কেজি ১৫০–১৫৫ টাকায় স্থিত আছে, তবে আমদানি করা মসুরের দাম কিছুটা কমে ৯৫–১০৫ টাকায় এসেছে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০০–১০৫ টাকায়, যা আগের তুলনায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক।

শীতের সবজি বাজারে জোগান বাড়ায় দাম কমছে। ক্রেতারা পাচ্ছেন স্বস্তি, ব্যবসায়ীরা দেখছেন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত।


আরও

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০